ফরিদপুর জেলার সীমান্তে দুইটি বড় নদী বিদ্যমান। একটি পদ্মা আরেকটি মেঘনা। পদ্মা জেলার উত্তর পূর্বাংশে পাবনা ও ঢাকা হতে জেলাকে বিভক্ত করেছে। এটি প্রথমতঃ মুন্সীগঞ্জ জেলার নিকট ভেলবারিয়া ফ্যাকটরিয়া উত্তর পশ্চিমাংশ স্পর্শ করে গোয়ালন্দের নিকট যমুনার সঙ্গে মিলিত হয়েছে। সাধারণতঃ এই সংযোগ বাইশ কোদালীয়া নামে পরিচিতি।
পদ্মার একটি শাখার নাম আড়িয়াল খাঁ, এটির উপরের দিকের নাম ছিল, ভূবনেশ্বর। ১৮০১ সালে ঠগদের দমনের জন্য আড়িয়াল খাঁ নামীয় এক জমাদার গভর্ণমেন্ট কর্র্তক নিযুক্ত হয়। ভূবনেশ্বর হতে এক খাল খনন করে এটি প্রাচীন পদ্মার দক্ষিণাংশের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়ায়, এটিই কালক্রমে প্রবল রূপ পরিগ্রহ করে প্রাচীন পদ্মা ও ভূবনেশ্বনের কতকাংশ গ্রাস করে ফেলে ও সাধারণের নিকট আড়িয়াল খাঁ নামে পরিচিতি হয়। এই নদী ফরিদপুর হতে কতক মাইল দূরে চর মুকুন্দিয়া নামে দ্বীপ গঠিত করে, প্রথমতঃ দক্ষিণ পূবাংশে দিয়ে ফুলতলা নদীর সহিত মিলিত হয়েছে। বর্ষার সময়ে এর প্রশস্ততা ১৬০০ গজ হয়। নীলখীর খাল এটির ২/৩ মাইল অতিক্রম করে আড়িয়াল খাঁ হতে কুমার পর্যন্ত প্রবাহিত হচ্ছে। গ্রীষ্ম সময়ে ২৫ গজ ও বর্ষার সময়ে ৫০ গজ প্রশস্ত হয়।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS