Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

জেলা প্রশাসনের পটভূমি

সুপ্রাচীনকাল থেকেই ফরিদপুরের রয়েছে অনেক কীর্তিময় গৌরব-গাঁথা। ফরিদপুর জেলার প্রতিষ্ঠা ১৭৮৬ সালে। মতান্তরে এ জেলা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮১৫ (বাংলা পিডিয়া)। এর আয়াতন ২০৭২.৭২ বর্গ কিলেমিটার। উত্তরে রাজবাড়ী এবং মানিকগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে নড়াইল ও মাগুরা, দক্ষিণে গোপালগঞ্জ জেলা পূর্বে ঢাকা ও মুন্সীগঞ্জ এবং মাদারীপুর জেলা। ফরিদপুর জেলায় মোট পৌরসভা ৫ টি, মহল্লা৯২টি, ইউনিয়ন ৮১টি, গ্রাম ১,৮৫৯টি। মোট উপজেলা ৯টি। সেগুলো হচ্ছেঃ ফরিদপুর সদর, মধুখালী, বোয়ালমারী,আলফাডাঙ্গা, সালথা, নগরকান্দা, ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন।

 

ব্রিটিশ শাসন আমলে সৃষ্ট একটি অন্যতম প্রাচীন জেলার নাম ফরিদপুর। অনেক আউলিয়া-দরবেশ, রাজনীতিক, পূণ্যাত্মার আবাসভূমি হিসেবে এ অঞ্চল অত্যন্ত সুপরিচিত। এ জেলার পূর্বনাম ছিল ‘‘ফতেহাবাদ’’। প্রখ্যাত সাধক এবং দরবেশ খাজা মাইনউদ্দিন চিশতী (রহঃ) এর শিষ্য শাহ ফরিদ(রহঃ) এর নামানুসারে এ জেলার নামকরণ করা হয় ফরিদপুর। ফরিদপুর জেলার প্রতিষ্ঠা সন ১৭৮৬ হলেও তখন এটির নাম ছিল জালালপুর এবং প্রধান কার্যালয় ছিল ঢাকা। ১৮০৭খ্রিঃ ঢাকা জালালপুর হতে বিভক্ত হয়ে এটি ফরিদপুর জেলা নামে অভিহিত হয় এবং হেড কোয়ার্টার স্থাপন করা হয় ফরিদপুর শহরে। গোয়ালন্দ, ফরিদপুর সদর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ এই চারটি মহকুমা সমন্বয়ে ফরিদপুর জেলা পূর্ণাঙ্গতাপায়। বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা পাঁচটি জেলায় রূপান্তরিত হয়েছে। জেলাগুলো হচ্ছেঃ ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর। এ জেলায় হাজী শরীয়তুল্লাহর নেতৃত্বে ফরায়েজী আন্দোলন ব্যাপক প্রসার লাভ করে। এক সময় গড়াই, মধুমতি, বারাসিয়া, চন্দনা, কুমার প্রভৃতি নদীর তীরবর্তী জমিতে নীলচাষ করা হতো। আলফাডাঙ্গা ও মীরগঞ্জে প্রধান কুঠি স্থাপন করা হয়েছিল। এজেলার ৫২টি নীল কুঠি এর অর্মত্মভূক্ত ছিল। প্রধান ম্যানেজার ছিলেন ডানলফ। অন্যান্য জেলার ন্যায় এ জেলায়ও নীল বিদ্রোহ হয়েছে। এতে নেতৃত্ব দেন দুদুমিয়া। এক সময় এ জেলা বিল প্রধান জলা ভূমি এলাকা ছিল এবং পদ্মার প্লাবনে পলিমাটিতে উর্বর হতো। জেলা শহর বর্তমানে কুমার নদীর তীরে অবস্থিত। ফরিদপুর পৌরসভা সৃষ্টি হয় ১৮৬৯ সালে। ২৭টি ওয়ার্ড ৩৫টি মহল্লা নিয়ে জেলা শহর গঠিত।এর আয়তন ২০.২৩ বর্গ কিলোমিটার। প্রাচীন নিদর্শন ও প্রত্ন সম্পদের মধ্যে -গেরদা মস্জিদ (হিঃ ১০১৩), পাতরাইল মস্জিদ ( ১৪৯৩ -১৫১৯ খ্রিঃ), সাতৈরমস্জিদ ( ১৫১৯ খ্রিঃ), বাসুদেব মন্দির, জগদবন্ধুর আঙ্গিনা, ফতেহাবাদ টাকশাল(১৫১৯-১৫৩২ খ্রিঃ), মথুরাপুর দেউল, বাইশরশি জমিদারবাড়ী, জেলা জজ কোর্ট ভবন(১৮৮৯ খ্রিঃ), ভাঙ্গা মুন্সেফ কোর্ট ভবন (১৮৮৯ খ্রিঃ) উল্লেখযোগ্য।