কুমার নদের পশ্চিম তীরে গোয়ালচামটের নূতন পৌর বাস টার্মিনাল। ০৭/১১/১৯৯১ইং তারিখে ফরিদপুর শহরের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবিশিক্ষানুরাগী ও মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দোগে একাট কলেজ প্রতিষ্ঠারপ্রথম সভা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মোঃ দেলওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে গোয়ালচামট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় । কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে প্রথম সাংগঠনিক কমিটির আহবায়ক নির্বাচিত হন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মাদ বাবুল যুগ্ম আহবায়ক নির্বাচিত হন এ্যাডঃ সুবল চন্দ্র সাহা এবং খন্দকার আবুল হাশেম । এ সভায় সাংগঠনিক সভার অন্যতম সদস্য বিশিষ্ট পুস্তক ব্যবসায়ি মরহুম মজিবর রহমান সিদ্দিকী প্রস্তাবিত কলেজের নাম ফরিদপুর মহাবিদ্যালয় নাম করনের প্রস্তাব করলে সর্ব সম্মতিক্রমে তা গৃহিত হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে সাংগঠনিক কমিটি সভা ডেকে সে সময়ে ফরিদপুর জেলার জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ আবদুর রহিম সাহেবকে সভাপতি করে কলেজ পরিচালনার পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠিত হয় ।মাননীয় জেলা প্রশাসক দ্রুত শিক্ষাক্রম শুরুর পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
এক মাসের মধ্যে নিয়োগ কমিটি ইসলামী শিক্ষা বিভাগে জনাব মোঃ আবদুল মতিন সাহেবকে প্রভাষক পদে নিয়োগ দিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে রেখে কলেজে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করেন ।
এরপরই ভুগোল বিভাগে জনাব মতিয়ার রহমান বাংলায় কবিতা গোস্বামী , রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিজয় রায় , দর্শণে ফজলুল হক খান , প্রভাষক পদে নিয়োগ পান
কলেজের একাদশ শ্রেণীর প্রথম ক্লাস কলেজের সভাপতির পরামর্শে জেলা পরিষদের পরিত্যাক্ত গোয়ালচামস্থ রেষ্টহাউসে ১১/১২/৯১ ইং তারিখে শুরু করা হয়। বিভিন্ন বিভাগে আরও শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে একাডেমিক কার্ডক্রম চলতে থাকে। কলেজ পরিচালনা কমিটি জমি ক্রয়ের আরও অর্থের সংস্থানে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেন। এর পর জেলা প্রশাসক বদলী হয়ে যাওয়ায় নতুন জেলা প্রশাসক হয়ে আসেন জনাব কে.এম.নুরুল হুদা। তারই উদ্দ্যেগে গোয়ালচামটস্থ সিএন্ডবি পরিত্যাক্ত ইটের ভাটার সাড়ে চার একর জমি স্থায়ীভাবে বন্দোবস্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিশেষ কারণে কলেজের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব আহমেদুর রহিম। তিনি এ উপজেলার অন্তর্ভূক্ত সকল ইউপি চেয়ারম্যানদের নিকট থেকে কলেজ ভবন
তৈরীর জন্য অর্থ সংগ্রহ শুরু করেন। শহরের ইট ব্যবসায়ী নিকট গিয়ে ইটঅর্থ আদায় করেন।
তারই ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কলেজে নিজস্ব জমিতে প্রথম টিনসেড ভবন তৈরী সম্ভব হয় এবং স্বল্প সময়ে কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম গুলবাগ রেষ্ট হাইস থেকে স্থানান্তর করা সম্ভব হয়ে উঠে। কলেজটি ০১/০৭/১৯৯৪ সালের ঢাকা বোর্ডের অনুমোদন পায় এবং ০১/০১/৯৫ থেকে শিক্ষকগণ এম.পি.ও ভূক্ত হন।
কলেজে অধ্যক্ষই একাডেমিক প্রশাসনের মুল চাবি কাঠি। ২৮/১০/৯২ ইং। তারিখে মীর আবু বকর প্রথম অধ্যক্ষই একাডেমিক প্রশাসনের মুল চাবি কাঠি। ২৮/১০/৯২ ইং তারিখে মীর আবু বকর প্রথম অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পান। তিনি যথারীতি দায়িত্ব পালন করে কলেজের জমি অধিগ্রহনে দলিল সম্পাদনা করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। নতুন ভবন তৈরীর জন্য কমিটির সাথে মিলে কাজ করতে শুরু করেন। ১৯৯৬ ইং সালে বিজ্ঞান শাখা খোলা হয় এবং ঐ বছরেই কারিগরি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়। কারিগরি শাখার ফলাফল সন্তোষজনক। বর্তমানে ৪টি ট্রেডে ১৬০ জন ছাত্র-ছাত্রী পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। ২০০৬ সাল থেকে অত্র কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রী কোর্স পড়ানোর অনুমোদন পায়।
দ্বিতীয় অধ্যক্ষ হিসাবে দীর্ঘ ৬ বছর অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন সরকারী কলেজের অবসর প্রাপ্ত অধ্যাপক মরহুম মোঃ আব্দুর রউফ খান। ১৫-০৬-২০০৮ ইং থেকে কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন সরকারি কলেজের অবসর প্রাপ্ত অধ্যাপক জনাব আবদুল হালিম।
কলেজের বর্তমান সভাপতি মাননীয় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনএম,পি। তারই পরামর্শে কলেজে আভ্যন্তরীন নানা সমস্যা দূরীকরণ করা সম্ভব হয়েছে, অনার্স শাখায় ও কারিগরি শাখায় মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগকে আরো একটি ভবন তৈরীর নির্দেশ দিয়েছেন। ফরিদপুর শহরে উচ্চ শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে তারই উদ্দ্যেগে, সমাজ বিজ্ঞান ও হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে ৫০ জন করে মোট ১০০ জন ছাত্র-ছাত্রী ফরিদপুরমহাবিদ্যালয়ে অনার্স পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।
সর্বোপরি ১৯৯১ সাল থেকে শুরু করে অদ্যাবধি বিভিন্ন সময়ে কলেজ পরিচালনাযে সব সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের সার্বিক সহযোগিতায় বৃদ্ধি, মেধা ও পরামর্শ আর্থিক অনুদানেই এ কলেজ আজকের এ অবস্থানে পৌঁচেছে। এ কারণেই আমরা তাদের সবার কাছেই কৃতজ্ঞ। এছাড়া স্থানীয় জনগনের কাছেও সার্বিক সহযোগিতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।
শ্রেণী | ছাত্র | ছাত্রী | মোট | মন্তব্য |
একাদশ | ৩৩৫ | ৩৬২ | ৬৯৭ |
|
দ্বাদশ | ৩৪৭ | ৩৬৮ | ৭১৫ |
|
স্নাতক ডিগ্রি | ২১ | ১৫ | ৩৬ |
|
স্নাতক (সম্মান) | ৭০ | ১১ | ৮১ |
|
ক্র.নং | নাম | পদবী | কার্যকাল | মোবাইল নং |
১. | সভাপতি, জনাব ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন | এম.পি ফরিদপুর-৩, মাননীয় মন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। |
| |
২. | অধ্যক্ষ/সদস্য | সদস্য সচিব ফরিদপুর মহাবিদ্যালয়, গোয়ালচামট, ফরিদপুর। |
|
|
৩. | জনাব এ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মনোনীত বিদোৎসাহী সদস্য। |
|
|
৪. | জনাব আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ মোল্যা | বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক মনোনীত বিদোৎসাহী সদস্য (বি.পি.এম) |
|
|
৫. | জনাব মোঃ নূরুদ্দীন বিশ্বাস | মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক মনোনীত বিদোৎসাহী সদস্য |
|
|
৬. | জনাব মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মোল্যা | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা কর্তৃক মনোনীত বিদোৎসাহী সদস্য |
|
|
৭. | জনাব আবুল হোসেন | দাতা প্রতিনিধি সদস্য |
|
|
৮. | জনাব মোঃ নীল কমল মন্ডল | অভিভাবক প্রতিনিধি সদস্য |
|
|
৯. | জনাব মোঃ মাসুদুজ্জামান খান | অভিভাবক প্রতিনিধি সদস্য |
|
|
১০. | জনাব আব্দুল মোতালেব মোল্যা | অভিভাবক প্রতিনিধি সদস্য |
|
|
১১. | জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম | শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য |
|
|
১২. | জনাব কে.এম.শরিফ উদ্দিন | শিক্ষকপ্রতিনিধি সদস্য |
|
|
১৩. | জনাব মোঃ রেজাউল করিম | শিক্ষকপ্রতিনিধি সদস্য |
|
|
পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এইচ,এস,সি | ২৬২ | ৩২১ | ৪৭৩ | ৪১১ | ৬১৭ |
পাশের সাল | ২০০৮ | ২০০৯ | ২০১০ | ২০১১ | ২০১২ |
পাশের হার | ৬৯.৮৪% | ৫৮.৮৭% | ৭২% | ৫৭% | ৭৩.২১ |
ডিগ্রী শাখার শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার ফলাফল |
শিক্ষাবর্ষ | ২০১০-২০১১ | ২০০৯-২০১০ | ২০০৮-২০০৯ | ||||||
শ্রেণী | ১ম | ২য় | ৩য় | ১ম | ২য় | ৩য় | ১ম | ২য় | ৩য় |
শিক্ষার্থীর সংখ্যা | ০৯ | ১৪ | ১৫ | ১৪ | ১৫ | ২১ | ১৫ | ২১ | ১৭ |
পাশের সাল | ২০০৯ |
|
| ২০১০ |
|
|
| ||
পাশের হার | ৫০% | ৩৩% |
|
|
|
০৯. | শিক্ষাবৃত্তি তথ্য সমূহঃ |
|
|
|
| ৪০% জন ছাত্রীকে উপ-বৃত্তির টাকা প্রদান করা হয়। |
১০. | বিশেষ অর্জন |
|
|
|
| এ + প্রাপ্তি বৃদ্ধি সহ সহপাঠ্যক্রম বিষয়ে অগ্রগতি। |
|
|
| ||
| এইচ.এস.সি (বি.এম) শাখাকে পূণাঙ্গ রূপ দেয়া ও আরও ৬টি বিষয়ে অনার্স কোর্স খোলা। |
ফরিদপুর মহাবিদ্যালয় গোয়ালচামট পোঃ শ্রীঅঙ্গন,ফরিদপুর। |
ক্রমিক নং | নাম | শ্রেণী | |
১। | মোঃ সোহান বিশ্বাস | একাদশ | দাদশ |
| মোমেনা আক্তার |
|
|
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস